• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Party Worker

রাজনীতি

সাংবাদিক বৈঠক: 'তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান কর্মীরাই'

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেব দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেখান থেকে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, দলের আসল সম্পদ দলীয় কর্মীরাই। তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান তাঁরাই। বাংলা জয়ের পর তৃণমূলের দেশ জয়ের ব্লু প্রিন্টের প্রাথমিক খসড়াও দিয়ে দিলেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। সবমিলিয়ে অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের মতোই সামলালেন সাংবাদিকদের প্রশ্নপর্বও। ২০০৭ সাল থেকে রাজনীতিতে থাকলেও এর আগে অভিষেককে সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেখা যায়নি। এবার নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর সোমবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তিনি। সেখান থেকে দলীয় কর্মীদের তাঁর বার্তা, দলে প্রথম বা প্রধান মুখই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান কর্মীরাই। আমি না। যাঁরা লড়াই করে বাংলায় দলকে ক্ষমতায় এনেছে। এদিন তিনি জানান, দল নতুন দায়িত্ব দিয়েছে। প্রবীণদের আর্শীবাদ নিয়ে কাজ করছি। গতকাল সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছি। আজ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করব। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর অভিষেকের এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।পরিবারতন্ত্র, পিসির ভাইপো এ ধরনের অরাজনৈতিক আক্রমণে বিদ্ধ তিনি। রাজনৈতিক পথেই তার সপাট জবাব দিয়েছেন।আর তাতেই পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে।তিনি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত স্নেহ, ভরসার পাত্র বুঝিয়ে দিলেন তাঁর লক্ষ্য স্থির। বললেন, যে দায়িত্ব পেয়েছি, তাতে আগামী দিনে দলের বিস্তারে আরও কাজ করব।দলকে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যাব। লিখে রাখুন, আগামী কুড়ি বছর রাজ্য প্রশাসনের কোনও পদ আমি নেব না। পরিবারতন্ত্র নিয়ে কটাক্ষেরও জবাব দিলেন প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে।এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও খোঁচা দেন অভিষেক। বললেন, বিরোধী দলনেতা কুৎসা করছেন। ৪০ লক্ষ বাঙালি বিজেপিশাসিত রাজ্যে রয়েছেন বলে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। আমি বলব, কুৎসা করবেন না। বিরোধী দলনেতার ভূমিকা পালন করুন।

জুন ০৭, ২০২১
রাজ্য

উলেন রায়ের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির

উলেন রায়ের মৃত্যুতে এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল বিজেপি। মঙ্গলবার উলেন রায়ের মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গ বনধ ডাকে বিজেপি। এদিন সকাল থেকেই বনধকে সফল করতে শিলিগুড়ির রাজপথে মিছিল করে বিজেপির একাধিক সাংসদ, রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সায়ন্তন বসু, সাংসদ রাজু বিস্তা, নিশিথ প্রামাণিক এবং অগ্নিমিত্রা পাল সহ বিজেপির জেলার অন্যান্য কার্যকর্তারা। এই মিছিল থেকেই মৃত বিজেপি কর্মীর উলেন রায়ের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত দাবি করেন দার্জিলিং-এর সাংসদ রাজু বিস্তা। এই দাবিতে অবিলম্বেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে বিজেপি এমনটাও জানান তিনি। এদিন উলেন রায়ের ময়নাতদন্তের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ। পাশাপাশি গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হচ্ছেন বিজেপি সাংসদরা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে উলেন রায়ের। প্রমান লোপাট করতেই রাতের অন্ধকারে ময়নাতদন্ত করেছে প্রশাসন। যদিও রাজ্যপুলিশের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে যে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী শটগানের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে উলেন রায়ের। পুলিশ শটগান ব্যবহার করে না। বিক্ষোভকারীদের মধ্যেই কেউ শটগান এনেছিলেন এবং খুব কাছ থেকেই গুলি ছোঁড়া হয়েছে। আরও পড়ুন ঃ বিজেপি নিজে খুন করে বলছে পুলিশ মেরেছেঃ মমতা অন্যদিকে, উলেন রায়ের মৃত্যু নিয়ে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ময়নাতদন্ত শেষ করে রাতারাতি দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় পরিবারকে। এমন অভিযোগ মৃতের পরিবারের। তবে এই অবস্থায় দেহ বাড়ি নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন উলেন রায়ের পরিবার। পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তারা। তাঁদের অভিযোগ, ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে জানিয়ে তাঁদের মুচলেকা লিখতে বলা হয় পুলিশের তরফে। মুচলেকায় অজ্ঞাত পরিচয়ের দেহ লিখতে বলায় তাঁরা দেহ নিতে অস্বীকার করেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সাদা কাগজে পুলিশের লেখা বয়ানেই জোর করে সই করতে হয়েছে তাঁদের। এমনকি মুচলেকায় উলেন রায়কে বিজেপি কর্মী বলে উল্লেখ করা হয়নি। রাতে কেন ময়নাতদন্ত হল? পাশাপাশি বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চাপ কেন এমন একাধিক অভিযোগ জানিয়ে ফের দেহের ময়নাতদন্তের দাবি করেছে উলেন রায়ের পরিবার। এছাড়াও উত্তরকন্যা অভিযানে মৃত বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব নিল উত্তরবঙ্গের বিজেপির চার সাংসদ। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদারি গ্রামপঞ্চায়েতের মেনঘোড়া গ্রামে যান কোচবিহারে বিজেপি সাংসদ, নিশিথ প্রামানিক, জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত কুমার রায়, দার্জিলিং -এর সাংসদ রাজু বিস্তা, বিজেপির রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এদিন মৃতের পরিবারকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। এছাড়াও ওই পরিবারের পাশে সবসময় থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
কলকাতা

সম্মান না পাওয়ায় তৃণমূল ভবনের সামনে বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের

দলে পর্যাপ্ত সম্মান পাচ্ছেন না , এই অভিযোগে শনিবার তৃণমূল ভবনের সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন দলীয় কর্মীরা। এদিন বেলার দিকে মেদিনীপুর থেকে দার্জিলিং বিভিন্ন প্রান্তের কয়েকশো কর্মী জড়ো হন তৃণমূল ভবনের সামনে। নিরাপত্তারক্ষীরাও তাঁদের সরাতে পারেননি। সারা দুপুর তৃণমূল ভবনের সামনের রাস্তা দুধারে তাঁরা অবস্থান করেন। কখনও কখনও স্লোগান তুলে বিক্ষোভও দেখান। বারবারই দাবি করতে থাকেন যে তাঁরা নেত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকেই সমস্যার কথা জানাবেন। আরও পড়ুন ঃ কেন্দ্রে এখন ফেক নিউজের সরকার চলছেঃ কাকলি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাঁদের বক্তব্য, আমরা দলের বহু পুরনো কর্মী। কিন্তু তেমন গুরুত্ব পাচ্ছি না। ভোট কিংবা দলের অন্যান্য কাজে আমাদের ডাকা হচ্ছে না। তাই আমরা নেত্রীর কাছে জানতে এসেছি, এর কারণ কী। আমরা আবার ভোটের কাজ করতে চাই আগের মতো। আমাদের দলকে ফের ক্ষমতায় আনতে চাই।এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন সুব্রত বক্সি। তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন, অভিযোগের কথা শোনেন। তারপর জানান যে আগামী বৃহস্পতিবার তাঁদের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তিনি নিজে আলোচনায় বসবেন। সমস্ত শুনে সমাধানের চেষ্টা করবেন। এতে খানিকটা আশ্বস্ত হন দলীয় কর্মীরা। অবস্থান বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে ফিরে যান।

নভেম্বর ২১, ২০২০
রাজ্য

দলীয় কর্মীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিজেপির

অন্যায়ভাবে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকেই খড়্গপুর টাউন থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভ চলতে থাকে। বিক্ষোভ তুলতে গেলে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের প্রথমে বচসা বাধে। তারপর ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। প্রসঙ্গত , বুধবার খড়্গপুর শহরের আঠারো নম্বর ওয়ার্ডের কার্যকর্তা লিপু বেরাকে গ্রেপ্তার করে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। আরও পড়ুন ঃ রাজ্যে শুরু লোকাল ট্রেন চলাচল এরই প্রতিবাদ জানাতে খড়গপুর টাউন থানা ঘেরাওয়ের ডাক দেয় বিজেপি। বিজেপির এই কর্মসূচির জেরে খড়্গপুর শহরে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় প্রচুর পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

নভেম্বর ১১, ২০২০
রাজ্য

অমিত শাহকে খাইয়েও মনের কথা বলা হল না বিভীষণ হাঁসদার

রাজ্য সফরে এসে পূর্বসূচি অনুযায়ী চতুরদিহি গ্রামে গিয়ে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দুপুর তিনটে নাগাদ তিনি বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে আসেন। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে স্বাগত জানান। তিনি প্রথমে উঠোনে থাকা খাটিয়াতে বসেন। তারপর তাকে যখন খেতে দেওয়া হয় , তখন তিনি খেঁজুর পাতার চাটাইয়ের উপর বসেন। কাঁসার থালার উপর কলাপাতায় মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। মেনুতে ছিল, ভাত, শাক, পটল বেগুন ভাজা, বিউলির ডাল, কুমড়োর ডালনা, আলু পোস্ত ও পোস্তর বড়া। আর শেষ পাতে ছিল চাটনি ও বেলিয়াতোড়ের বিখ্যাত মেচা সন্দেশ। তিনি অবশ্য মিষ্টি খাননি। তাঁর সঙ্গে খেতে বসেছিলেন বিভীষণ হাঁসদা , দিলীপ ঘোষ , কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহা-সহ অন্য নেতারাও। খাওয়ার পর রান্নার প্রশংসা করতে ভোলেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি টুইটে লেখেন, চতুরডিহি গ্রামে শ্রী বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে চমৎকার বাঙালি খাবার খাওয়ার সুযোগ পেলাম। কোনো শব্দই তাদের আতিথেয়তা বর্ণনা করতে পারবে না। আরও পড়ুন ঃ অমিত শাহকে রেঁধে খাওয়ানো গীতা মাহালিকে হোমগার্ডের চাকরি দিল রাজ্য অবশ্য বিজেপি কর্মী বিভীষণ হাঁসদা বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী মণিকাকে নিয়ে আমাদের পরিবারে মোট ৬ জন সদস্য। দিনমজুরির কাজ করেই সংসার চলে। আমার একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। মেয়ে রচনা হাঁসদা বর্তমানে ক্লাস টুয়েলভ পড়ে। এমনিত পড়াশোনায় ভাল তবে মধুমেহ রোগের জন্য তাকে মাসে তিন বার ইনসুলিন নিতে হয়। এর জন্য প্রায় ৫-৬ হাজার টাকা খরচ হয়। আমি ভেবেছিলাম আজ এই বিষয়ে সাহায্য করার জন্য আবেদন জানাব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু, প্রচুর মানুষের ভিড় তাঁকে আর সেই কথা বলে উঠতে পারলাম না। তাই ভাবছি চিঠি লিখে মেয়ের চিকিৎসায় সাহায্য করার জন্য ওনার কাছে আবেদন জানাব।

নভেম্বর ০৫, ২০২০
রাজ্য

পুলিশ - বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত বাগনান , আটক ৬

দলীয় কর্মীর হত্যার প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্ধের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাগনান । বৃহস্পতিবার সেখানে মিছিল করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে। তাতেই পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতাকর্মীরা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরে অবশ্য সৌমিত্র খাঁকে এলাকায় ঢুকতে দেয় পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ৬ বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে। কেন দলীয় কর্মীদের আটক করা হল, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন সৌমিত্র খাঁ। এরপরই টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বাগনান থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা। পালটা এলাকায় শান্তি মিছিল করে তৃণমূল। বাগনান স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভও দেখায় তৃণমূল কর্মীরা। সৌমিত্র খাঁ বলেন, আমাদের দলীয় কর্মীকে খুন করা হয়েছে। আর আমাদেরই মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের কর্মীদের মারধর করে গ্রেফতার করছে পুলিশ। আর সেখানে তৃণমূল নেতারা আজ মিছিল বের করলেন। এছাড়াও হাওড়া জ্বলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বাগনানের বিজেপি নেতা কিঙ্কর মাজির মৃত্যু নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন , যে কর্মীকে আমাদের গুলি করা হয়েছিল সে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে করতে গতকাল মারা যায়। সে রকম সিতাই, মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনার একজন মারা গিয়েছে। পুজোর মধ্যেও এই খুনখারাপি চলেছে। আমার মনে হয় এগুলো ইচ্ছা করে করছে। প্রশাসনের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের। যারা সমাজবিরোধী তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষকে খুন করছে। অন্যদিকে , দলীয় কর্মীর হত্যার প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাগনান বন্ধে অধিকাংশ দোকান খোলেনি। অবশ্য বাগনানের স্টেশনের দক্ষিণ পাশে দোকানপাট খোলাই ছিল। বাসস্ট্যান্ডে দেখা মিলেছে অটোর। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তায় যানবাহন চলাচল কিছুটা কম। এছারাও ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে স্বাভাবিক ছিল যান চলাচল। আরও পড়ুন ঃ কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্যর জন্য কাজ করলে হবে নাঃ শুভেন্দু প্রসঙ্গত , অষ্টমীর রাতে বাগনানের চন্দনাপাড়া গ্রামে কিঙ্কর মাজি নামে এক বিজেপি নেতাকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী পরিতোষ মাজির বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় প্রথমে কিঙ্করকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রেফার করা হয় এনআরএস-এ। সেখানেই বুধবার সকালে মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় বিজেপির অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনায় তাদের কোনও যোগ নেই।

অক্টোবর ২৯, ২০২০
দেশ

দলের কর্মীদের হাতে খুন মাওবাদী নেতা

দলের কর্মীদের হাতে খুন হতে হল এক মাওবাদী নেতাকে। ঘটনাটি ঘটেছে,ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরের চিতাভার জঙ্গলে।মৃত মাওবাদী নেতার নাম মোদিয়াম ভিজ্জা।ছত্তীসগঢ়ের পুলিশের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে।গঙ্গালুর এরিয়ার ডিভিশনাল কমিটি মেম্বার ছিলেন ভিজ্জা। তাঁকেই চিতাভার জঙ্গলে খুন করা হয়েছে সম্প্রতি।ছত্তীসগঢ়ের বস্তার রেঞ্জের আইজি পি সুন্দররাজ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ভিজ্জা ও তার দলেরই গঙ্গালুর এরিয়ায় সেক্রেটারি দীনেশ মোদিয়ামের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। তাতেই খুন হন ভিজ্জা। জানা যাচ্ছে, বিজাপুরের নিরাপরাধ উপজাতিদের ওপরে মাওবাদীদের দিনের পর দিন অত্যাচারে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল দলের অন্দরে। উপজাতিদের ওপরে অত্যাচারের মাথা ছিলেন ওই ভিজ্জা। মাওবাদী ওই নেতাকে খুন করার পর তার দেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে দলের ক্যাডাররা। তিনি আরও বলেন,গঙ্গালুর এলাকায় একাধিক ঘটনায় সাধারণ মানুষ খুনে নাম জড়িয়েছিল ভিজ্জার। তার মাথার দাম ধার্য হয়েছিল ৮ লাখ টাকা।

অক্টোবর ০৩, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal